বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ন

শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ

নারায়ণগঞ্জ তালাশ ডেস্ক / ৩১৩ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ন

 

  • নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ড এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ ও উত্তর নোয়াদ্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—উত্তর নোয়াদ্দা ডায়াবেটিকস্ হাসপাতালের পেছনের এলাকার সোহরাব মৃধার পুত্র মো. শান্ত হাসান (২০) এবং নবীগঞ্জ কাইতাখালী এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া, মৃত মাসুম রেজার পুত্র মাহমুদুল হাসান সুখন (২২)।

এ ঘটনায় ঢাকার বংশাল থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল হকের পুত্র শিক্ষার্থী মো. মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) বন্দর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পলাতক আসামিরা হলেন—নোয়াদ্দা বড় মসজিদ এলাকার সোহান (২৭), কাইতাখালির তাইজুল ইসলামের পুত্র পারভেজ ওরফে বাবু (২৪), উত্তর নোয়াদ্দার আলতাবের পুত্র রিহান (২০), এবং রাহা মনি ওরফে রুহিসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিন উদ্দিন নাঈমের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বন্দরের রাহা মনি ওরফে রুহি (২২) নামের এক নারীর। সেই সূত্রে গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে নাঈম রাহা মনির সঙ্গে দেখা করতে আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ডে গেলে তিনি অপহরণের শিকার হন।

রাহা মনি ওরফে রুহির সহযোগিতায় ১০-১২ জনের একটি চক্র নাঈমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত একটি বিলে নিয়ে যায়। সেখানে কাঠের ডাসা দিয়ে মারধর করে তাকে গুরুতর জখম করা হয় এবং ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

অপহরণকারীরা তার মানিব্যাগে থাকা সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং ৩২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের একটি আইফোন লুটে নেয়। এরপর তার বাবার ফোনে মুক্তিপণের জন্য ফোন করে এবং বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা আদায় করে। ১৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নাঈম বন্দর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ প্রথমে শান্ত হাসানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় মাহমুদুল হাসান সুখনকে। সুখনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর আইফোন।

ঘটনার বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি পলাতকদের ধরতে অভিযান চলছে।”

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ জাতীয় ক্যাটাগরীর আরো খবর..