নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী আবদুল মতিন নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের এনায়েতনগরের গোদনাইল এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত মোহাম্মদ আলী ও মনোয়ারা বেগমের সন্তান।
অভিযোগের বরাত দিয়ে আবদুল মতিন জানান, জালকুড়ি মৌজার আর.এস ৪৭৬৭ দাগে আমার ৫ শতাংশ জমি রয়েছে। যা আমার ভগ্নিপতি জয়নাল আবেদিন ২০১৪ সালে অনিক কুমার বসুর কাছ থেকে ক্রয় করেন। সেই জমিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভুমিদস্যু মোঃ মফিজুল ইসলাম (৫৮) সহ আরও ১০-১২ জন ব্যক্তি আমার জমি জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
তিনি জানান, গত ২০১৯ সালে জমির উপর স্থাপনা নির্মাণের সময় বিবাদীরা বাধা প্রদান করে। মতিন দলিলপত্র দেখিয়েও নিজ জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করতে পারিনি। বরং, বিবাদীরা দলিলপত্র ছিঁড়ে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জমি ছাড়তে বাধ্য করে। পরে আমি নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা (মামলা নং- ২৩২/২০১৯) দায়ের করেন। আদালত মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কোনো রকম স্থাপনা নির্মাণ না করার ঘোষণা প্রদান করেন।
তিনি আরও জানান, কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল বিকালে বিবাদী মোঃ মফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা প্রায় তিন হাজার ইট এবং সাইনবোর্ড ভেঙে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে। বাধা দিতে গেলে আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখানো সহ আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বলে। তারা আরো বলে যে, ‘তুই যদি এই জমি নিয়ে বাড়াবাড়ি করিস তাহলে তোকে জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলিবো।
অভিযোগকারী ভুক্তভোগী আবদুল মতিনের দাবি, ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এসকল ভুমিদস্যু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তা ও র্যাবের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ভূমিদস্যু মফিজুল ইসলাম বিগত আওয়ামী সরকারের শাসনামলে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির ঘনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসংখ্য অসহায় মানুষের জমি দখল করেছেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...